লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার তাহেরা বিদ্যাপীঠে বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে তাহেরা বিদ্যাপীঠের প্রশাসক মোঃ শোয়ায়েবুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক নুরনবী ইসলামের সঞ্চালনায় ৩ দিন ব্যাপি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোতাহার হোসেন এমপি।
সকাল ৯টায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। অতঃপর জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে প্রধান অতিথি আলহাজ্ব মোতাহার হোসেন এমপি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবু পূর্ণ চন্দ্র রায়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রুহুল আমিন বাবুল, পৌর মেয়র রাশেদুল ইসলাম সুইট, পাটগ্রাম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান নীলু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন লিপু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু তালেব। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল ইসলাম, পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিত,তাহেরা বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ আহসান উল হাবিব ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিদ্যাপীঠের শিক্ষক ও পরিচালক মন্ডলীর সদস্যরা।
বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৩ দিন ব্যাপি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উৎসব শুরু হয়। দলগত ডিসপ্লে, মশাল প্রজ্জ্বলন, মার্চ পাস্টের পর বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ইভেন্টের মধ্যে ছিল, চকলেট দৌড়, বস্তা দৌড়, বিস্কুট দৌড়, যেমন খুশি তেমন সাজো, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, অতিথি ও পুরুষ অভিভাবকদের জন্য লৌহ বল নিক্ষেপ ও মহিলা অভিভাবকদের জন্য ছিল বালিশ খেলা প্রভৃতি।
এ সময় প্রধান অতিথি আলহাজ্ব মোতাহার হোসেন এম পি বলেন, শিক্ষার উন্নয়নের সাথে সাথে ক্রীড়া সংস্কৃতিক অগ্রগতির জন্য আগামী প্রজন্মের শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। ভাল লেখা-পড়া ও ক্রীড়াই দেশকে ও যোগ্য নাগরিকদের সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ মানসিক ও শারীরিক বিকাশে শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার উন্মুক্ত সুযোগ জরুরি বলে মন্তব্য করে পড়াশুনার পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলা ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সাথে মানবিক গুণাবলি অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। শিক্ষা, খেলাধূলা এবং সংস্কৃতি একে অপরের পরিপূরক।
ক্রীড়া, শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে।
প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি খেলাধুলা, শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা, সামাজিক কর্মকাণ্ড, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের অংশীদারিত্ব সমন্বয় করে চলতে হবে। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা যে জ্ঞান অর্জন করছি সেটা যেন আমাদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারি।
শুধু পড়া লেখায় নয়, ভাল মানুষ এবং সুনাগরিক হতে হলে খেলাধুলার এবং শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চার কোন বিকল্প নেই।
এসব কর্মকাণ্ড উন্নত জাতি গঠনে সহায়ক ভূমিকা যেমন রাখে, তেমনি আমাদের শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। সেইসাথে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই বঙ্গবন্ধু, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে এবং শৃঙ্খলার সাথে জীবন পরিচালিত করতে হবে।